প্রস্তুতি ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার ২৬৪
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৪১ আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২২
বিশ্বকাপের মূল পর্বের লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এদিন চোট সমস্যা থাকায় নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন না স্কোয়াডে। সাকিবকে ছাড়াই বল হাতে খুব একটা খারাপ করেনি টাইগাররা। স্পিনারদের দাপুটে ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি লঙ্কানরা। অর্থাৎ বিশ্বকাপে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৬৪।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় আসামের গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচটি। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও পাথুম নিসাঙ্কা গড়েন ৬৪ রানের জুটি। এরপর কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় মাঠ ছাড়েন পেরেরা। তাতে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। তবে নিসাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদশের হতাশা বাড়াতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। ৪০ রানের জুটিও গড়েন। তাতে বিনা উইকেটে লঙ্কানদের রান তখন ১০৪।
এরপর মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। এক ওভার পর বল হাতে নিয়ে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে তুলে নেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিসাঙ্কা। তাকেও ফেরান শেখ মেহেদী। দলীয় ১৩২ রানে তাকে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ৩২ রানের ছোট একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে এ জুটিও ভাঙেন শেখ মেহেদী। আর লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
দলীয় ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দিমুথ করুনারত্নেকে নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান ধনাঞ্জয়া। ৪১ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে করুনারাত্নেকে রানআউট করে এ জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর খুব বেশি আগাতে পারেনি দলটি। এক প্রান্তে লড়াই করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। ৬৪ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন পেরেরা।
৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাহেদী হাসান। সবচেয়ে বেশি ১০ ওভার করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই